দুটি
কবিতা
অভিনেত্রী
দুটো শট টেক হবার
মাঝখানের বিরতিতে
মধুশ্রী চলে আসেন নিজস্ব
ড্রেসিং কেবিনে।
নির্জনতা নেই সেখানেও।
হেয়ার ড্রেসার,
মেক-আপ ম্যান
আর
দিদি বা ম্যাডাম ডাকা
অসংখ্য গুণ্মুগ্ধ।
আজ সব টেক একেবারেই
ওকে ।
বাইরে গুঞ্জন-
" আজ উনি দারুণ
ফর্মে
কী অসামান্য অভিব্যক্তি!"
পরনারী আসক্ত ভিলেন স্বামীর
অভিনয়ের বেত পিঠ পেতে
নিতে নিতে
মধুশ্রীর বারবার মনে পড়ে
যাচ্ছিল
অভিনয়পূর্ব গৃহজীবন।
পিঠের দাগগুলো কসমেটিক সার্জারিতে
মরে গিয়েও
কী করে যেন বেঁচে
ওঠে প্রতি মধ্য
রাত্রে।
ধ্বংসস্তূপ
থেকে
খুলে গেছে আপেল মিনারের তোরণ
থরথর করে কাঁপছে প্রাসাদ।
এ কম্পন প্রেমের আবেগের নয়, ভয়ের।
বস্তুত প্রেমের কম্পন জীবনে উপলব্ধি করার আগেই ঘটে গেছে ভয়াবহ ভূমিকম্প ।
জগিং এর সকালে শর্টস পরা পা দেখে
উত্তেজিত প্রৌঢ় প্রতিবেশী তুলে এনেছে তাকে।
"
ধর্ষণ নয় হুজুর, মেয়েটিই বিকৃত "
ধর্ষণ প্রমাণ হবে না,
প্রমাণ হবে না সাপের মত হাত কিলবিলিয়ে কি কি করেছিল।
যোনিতে মিলবেনা বীর্যের চিহ্ন।
কারণ , প্রৌঢ়টির
শিশ্ন ক্রিয়াকলাপ পারে না।
সেই ক্রোধে কিশোরীদের তুলে এনে
প্রৌঢ়টি ধ্বংস করে দেয় তাদের আত্মা।
যাতে , যখন তাদের
শরীরে
কোনো যুবকের প্রেমের হাত পড়বে
তারা সিটিয়ে যায় স্মৃতির বীভৎসতায় ,
যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের ভাবে নষ্ট,
যাতে তাদের জীবনে সুন্দর কোনোদিন না আসে ।
আসামীর উকিল খুব সহজেই প্রমাণ করে দেবে
ধর্ষণ নয় ,
যোনিতে মেলে নি কোনো চিহ্ন।
আর, কিশোরীগুলি
অক্ষতযোনি হয়েও
খতবিক্ষত স্মৃতি নিয়ে কোনোদিন উপভোগ করতে পারবে না যুবকের প্রেম।
পাপড়ি গঙ্গোপাধ্যায়