পূর্ণগ্রাস
পূর্ণগ্রাস
সূর্যগ্রহণ হলেই
আমি ছাতে এসে
বসি
প্রখর-তপন-তাপ
নিবে যায় ধীরেধীরে
শিরশিরে বাতাস
মেখে পাখিরাও
ভাবে
বুঝিসন্ধ্যে নেমে এলো
কিছুই না অথচ
চাপা আশঙ্কায়
তিরতির করে
কাঁপে বুক।
বরফ হাতের পাতা
বাড়িয়ে ধরি
যেদিকে তোমার সাকিন....।
সেদিকে
পূর্ণগ্রাস হয়না কখনো
তাই ছাতের দড়িতে
শুক সারে সারে মেলে দেয়
শরীর ,সায়া,নাইটি
আর......।
কাগজী লেবুর
গোড়া উসকে দেয় নিড়েনে
আচারের বয়েমগুলি
রোদে থরে থরে।
তারপর বাজার
গিয়ে সজনেফুল নেয়,
কানকো
উলটে পালটে কেনে মাছটাছ,
আর ফিরতি পথে দু
পুরিয়া সেঁকো বিষ।
ভাঁড়ারে ইঁদুর
সব সঞ্চয় কেটে যায়;
উদ্বৃত্ত মাছে
মেখে বিষ দেয় তাকে।
যদিও সে সজিনার
ফুলও ভালোবাসে.....।
আসলে যারা খালি
চোখে সূর্যগ্রহণ দেখে
তারা একদিন অন্ধ
হয়ে যায়
আর যারা
জন্মান্ধ, তাদের চোখে
প্রতিটি গ্রহণ
একেকটি তিরতিরে আশঙ্কার
ছবি এঁকে
রাখে.... এঁকে রাখে....
কষ্টে পাথর হয়ে
যাওয়া হাতের ছাপ।