যে বসন্তে পলাশ
ঝরে যায় শব্দহীন
গাঢ় রঙ মেখে
রাজপথে ডোবে লাশ
পাশ করার পরও
চাকরি না পেয়ে
দুধের শিশু কোলে
অনশনে বসে মা
মন রাঙানো
বুদ্ধিজীবীরা ফিরিয়ে নেয় মুখ
সততার দম্ভ
বাতাসে হারিয়ে একরোখা
সে বসন্ত আমি চাই
না
যে বসন্ত রাজাকে
স্বেচ্ছাচারী বানায়
মাথা নীচু করে
আগলে রাখে অপরাধ
দিনের পর দিন আলো
নিভিয়ে ভাবে
কেউ তাকে দেখতে
পাচ্ছে না
গাছেদের
অত্যাচারে যখন পাখিরা ঘরছাড়া
কোকিলকে বোঝাতে
হয় আচ্ছে-দিন আসছে
সে বসন্ত আমার
জন্য হতে পারে না
নদীর পাড়ে
দাঁড়ানো বালিগুলো
যেদিন ঝড় হয়ে
ছড়িয়ে পড়বে ঘরময়
পথের পিচ দারুণ
আক্রোশে বইতে থাকবে
প্রতিবাদী নালা
বরাবর
সেদিন যে আগুন
জ্বলবে পর্দা সরিয়ে
সেই আনবে চূড়ান্ত
কৃষ্ণচূড়া সুখ
সুমন দিন্ডা