তৃষ্ণা
এমন
বর্ষা-বিহীন দিনে আমাকে দাঁড়িয়ে রাখলে অনন্ত। চারপাশ থেকে ভেসে আসছে ফুলে ঢাকা
শহরের হাওয়া। সমস্ত হাসপাতাল বন্ধ আজ,
ওষুধের দোকান বন্ধ। রাস্তা না পেয়ে, অ-সুখ ঢুকে এসেছে ঘরে। বলছে, 'এসো গল্প জমানো যাক। এসো, শিখিয়ে দিই কীভাবে আঁকা
যায় প্রকৃত মেঘ'। জল আঁকতে গিয়ে আমরা
এঁকে ফেললাম শিকারীর লাল চোখ; নিম্নচাপের দিকনির্দেশ। একটি মনখারাপ তখন নেমে যাচ্ছে গভীর খাদের দিকে।
কিছুতেই তাকে ভোলানো যাচ্ছে না। কিছুতেই বলা যাচ্ছে না এই শহরের মনকেমন হলে,
আজও সে তোমার চোখের দিকে চেয়ে বসে থাকে। চায়। আজ শুধু নৃশংস
আত্মীয়দের খবরে ভাসছে পুরানো আলমারি; ঘুণধরা দেরাজের চাবি।
অথচ সৌজন্য বশত কিছু মেঘ, ছেঁড়া মেঘদূত থেকে বেরিয়ে চলে
যাচ্ছে অলকানন্দার দিকে। কেউ তাকে নিশ্চয়ই, পিছু ডেকে,
এমন সব দুর্দিনের কথা বলবে না! বলবে না, চব্বিশ
ঘন্টার প্রবল বৃষ্টিপাত, শহরের এমন মনখারাপ ভাসিয়ে দিতে
পারে... যদি তুমি চাও...
ঘাতক
বিশ্বাস করো, বিড়ালের চোখ
উপেক্ষা করতে
পারিনি
বলেই
মাংসের লোভ
নিয়ে বসে আছি এই ভরসন্ধেবেলা
সমস্ত
যাত্রাপথে পাহাড়ের চুড়ো
ভাঙা ভ্রমণের
গল্প
আর
ধূপগন্ধময়
নখের আওয়াজ
বৃদ্ধাঙ্গুলি
জড়িয়ে উঠছে মিশ্রকলাবৃত্তে
লালা আর
থুতুতে ভরে উঠছে রোদের চিহ্ন
ঈশ্বরের
প্রসাদ...
নদী হয়ে ওঠা
দৃশ্যকল্প নিয়ে
আত্মহত্যাদের
গর্ভে ঠেলে দিচ্ছি
জন্মমাত্রই
জলের প্রয়োজন
ধীরে ধীরে
নদী হারিয়ে
গড়ে উঠছে
খানা আর খন্দ...
3 মন্তব্যসমূহ
বেবী সাউ এর দুটি কবিতা স্বতন্ত্র স্বাদের। খুব ভালো লাগল। -পৃথা চট্টোপাধ্যায়
উত্তরমুছুনসুন্দর হয়েছে
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর।
উত্তরমুছুন