দুটি কবিতা
পূর্ণস্নান
বিরহ-জানালা
আজও পড়েনি রোদ্দুর সুরঞ্জন ।
ব্যথার
ছোঁয়া লেগে হয়েছে চুরমার কাচের মন ।
সে
কোন তন্বী করেনি এখনও পূর্ণস্নান ?
জীবনী
ভেসে যায়...
বিথান
দেহ-দিন । আরশি গলে লীন । রুক্ষকেশ ।
পলক
স্থিরবে । কি দিয়ে লুকোবে দুঃখকে ?
নগ্ন
আয়োজন কাঁপছে থরথর । অনির্বাণ ।
দুরূহ
ব্যবধায়
আখর
তৃষাতুর । স্বপ্ন যতদূর --- অবক্ষীণ ।
জনম ও
নজমে্র প্রতিটি ছত্রই ছন্দহীন ।
এখনও
কত জল ভাঙলে তবে সুখ-সন্নিধান ?
নিগূঢ়
হাহুতাশ
তন্বী
ওঠো । বাঁচো। ইচ্ছে দিয়ে মোছো দুঃখ-লোর ।
তন্বী
মাখো মাখো, নয়নে মাখো মাখো নব্য ভোর ।
জানালা
খুলে দ্যাখো হিরণ-পৃথিবী, দৃশ্যমান ।
এই তো
প্রতিভাস ।
শ্রীমতি
ফুলবাড়ি
গড়েছো শ্রীমতি ? ফুলবাড়ি অমেয় গহনে ?
কতটা
ভ্রমর হবে ফুলে, সে কথা শুধু বনমালী জানে ।
ফুলবাড়ি
মেলেছো শ্রীমতি ? ব্যাদত্ত । আশরীর ভরা ।
সখীরা
কটুকথা বলে । তোমাকে হিংসে ক'রে ওরা ।
দেখতে
পায় না ওরা তাই, এত গূঢ় । সযত্নে । কাছে ।
গোপনে
রেখেছো শ্রীমতি ? আছে ? আছে ? কালাচাঁদ আছে ?
ডাকো, ঘরের বাইরে
ডাকো তাকে । লুকিয়ে থাকবে আর কত ?
সখীরা
কানে বিষ ঢালে । দেখা দিল ? দেখা দিল না তো ?
এই
ফুলবাড়ি তীর্থ শ্রীমতি । এই ফুলবাড়ি তোমার সস্তিক ।
কত সাধ
কালো ভ্রমরের । দেখো, আসবে সে একদিন ঠিক ।
আর যা
যা রটে যমুনার তীরে । সে কী বিদ্রুপ ক'রে সহচরী ।
শ্রীমতি
স্নান সেড়ে উঠে, স্তন ঢাকো । মাটিতে লুটোচ্ছে শাড়ি ।
তবু ও
কলসি ভরেছো ! জল দোলে । শ্রোণী দোলে । ঢেউ...
কাঁখে
নিয়ে ঘরে ফিরে এলে । কই কলস তো ভাঙলো না কেউ ?
যে
মোহ মেখেছো সারা গায় । বিমগ্ন । চন্দন-হরি ।
সখীরা
গালাগালি দেয় । তুই কেঁদে কেঁদে মর মুখপুড়ি ।
ফুলবাড়ি
ভাঙবে মানিনী ? বোঝোনি সে অনঘ প্রণয় ?
তুুমি
তো রানি হয়ে আছো । সে পাওয়া কি যথেষ্ট নয় ?
0 মন্তব্যসমূহ