দুটি কবিতা
জ্বর সারানোর প্রেসক্রিপশন
১)
ধরো তখন অনেক রাত। তুমি
একা। তোমার সারা দেহে অত্যাচারের চিহ্ন। শিকারির ছুঁড়ে দেওয়া তির, আঁচড় কেটে আহত করেছে
তোমায়। অর্ধমৃত তুমি, মনে করতে পারছো না " ইউ আর ডাউন এন্ড আউট - এর" কোনো
কাব্যিক বাংলা। তুমি দেখছো সেয়ানা পাগলে ভরে গেছে পৃথিবী। দেখছো দেখছো দেখতেই থাকছো, বিক্রি হয়ে যাচ্ছে মান ও কলম। সামান্য চোখ বন্ধ
করে রেখো তখন। ফেসবুক বন্ধ করে হাতে তুলে নিও কবিতা। কবিতাই মহৌষধি তোমার। আবার উঠে
দাঁড়ানোর আয়ুর্বেদ।
২)
ঝিম ধরা স্টেশনগুলো যেন
অভিমান সংগ্রহ। তাদের সমস্ত শরীর একা। সেখানকার বট গাছের ছায়া মগ্ন, টিকিট কাউন্টার অচঞ্চল বাতাস, এমনকী শেড বা ওভারব্রিজ
তারাও ভীষণ অন্যমনস্ক। সেইসব স্টেশনে টিকিট পরীক্ষা নেই, প্রিপেড বুথ নেই, কামসুম রেস্টুরেন্ট
তো নেইই।
কবিতার মতো সেই সব স্টেশনে
ভিখিরি থাকে না কোনও। শুধু দু একটি সারমেয় আর এক ঝাঁক কবুতর আহ্লাদ করে সারাদিন। কখনো
কখনো সেখানে অনুচ্চারে এসে দাঁড়ায় এক নীল কিংবা
হলুদ ট্রেন। ঘরমুখী এক উদাসী বাউল নেমে আসে সেই ট্রেন থেকে। যেন নির্লিপ্ত এক গিটারিস্ট।
এখুনি গেয়ে উঠবে 'ডার্ক সাইড অফ দ্য মুন' কিংবা ' বন্ধু চল'। তারপর হারিয়ে যায়। শুধু
কাঁপতে থাকে নির্জনতা, ধুলো বাতাস, বর্ণালীহেমন্তের
ছায়া শান্ত একাকী অপেক্ষা।
0 মন্তব্যসমূহ