পরিযায়ী কবিতা
১
কাজ হারানোর
ভয় পা ছোটায়
ধূলো কেঁদে
ওঠে
যতদূর বালিকা
হেঁটেছিল
জল শুকিয়ে
যায়
ক্ষমতার
শুকনো পাতায়
তার দেহ
এতো হালকা
পতনের শব্দ
জাগে না
তবুও পাখি
উড়ে যায়
২.
লাইন আর
রুটির সম্পর্ক চাঁদ জানে
বুদ্ধ
সিদ্ধার্থ অবস্থায় জানতেন
পূর্ণিমা
কিভাবে মাংসাশী হয়ে ওঠে
মালগাড়ি ঝড়
পা পা করে পা
চলতে না চাইলে
ঘুম আসে
শান্তির ঘুম
তখনই একটা
আত্মহত্যার দুঃস্বপ্ন
দুদ্দাড় বেগে
এরপরের লাইনে
স্নান করছে একসাথে রক্ত রুটি জোৎস্না
৩
এতো অন্ধকারে
কারা যায়
রাস্তা চেনে
টলতে টলতে
খিদে পায়
ট্রাক
ড্রাইভার মশগুল দেশোয়ালী গানায়
আট চাকা বোঝে
সেই মাতলামি
কালো পিচে
মিশে গেছে দেহগুলি
মূল্যহীন
আঁধার জাপটে
আছে তারা
দেশঘর সে
বহুদূর
ফাটাখুলি
ঠিকানা জানে না
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়