তিনটি কবিতা
কীর্তনের আসর
কীর্তনের আসরে বসেছি
সাধ্যের স্বরূপ কী!
সাধনের পদ্ধতি কেমন কিছুই না জেনে।
ফুলসাজে সজ্জিত শ্যামকুঞ্জটির বর্ণনা ভালো লাগে,
ফুলের বাইরে সৌরভ আর ভেতরে মধু!
কল্পনা করে উত্তেজিত হই।
মনোহরশাহী কীর্তনের আসরে এসেছি–
লোকে জানে ঢপ কীর্তনের আসরে এসেছি বাতাসার লোভে।
পোষ্য
অন্ধকারের ভেতর ছিঁচকে চোরের মতো
কাউকে এগিয়ে আসতে দেখলে
একটু হুঙ্কার ছাড়তে ইচ্ছে করে,
কিন্তু খাওয়ার পর ঘুম পায়,
হয় তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়ি
পাপোষে, আরামে...
স্মৃতিভ্রংশ
উড়ন্ত পাখির ডানায় ভর করে
কবে শেষবার করেছিলাম আকাশের নীল ডানা ছুঁয়ে!
মনে পড়ছে না।
চৈত্রের বৃষ্টির হঠকারিতার সঙ্গী হয়ে
কবে ছুঁয়েছিলাম তোমার আঙ্গুল শেষবার!
মনেই পড়ছে না।
শুধু মনে জেগে আছে
তোমার নখের মতো মসৃণ নয় তোমার আঁচড়।
বিশ্বজিৎ মাইতি