দুটি কবিতা
উপসমের খোঁজ চলে যখন
গাছের মাথায় উপর চাঁদ দেখার অপেক্ষায়
সন্ধ্যা গড়িয়ে যায় ,
বাতাসের মৃদুস্বরে কত মুখোশ
কত শিরদাঁড়া
সেদিকে প্রতিঘন্টার দরদাম করতে থাকে কিছু
পোশাক
কয়েকটা অ্যান্টিবায়োটিকের খালি পাতার উপর
শিশিরবিন্দু
আলো পড়ে আবার পড়ে না ও
-
সেদিক থেকে গড়িয়ে যাবার
সম্ভাবনা প্রবল
অতর্কিতে কত কী যে হয়ে যায়
কেউ শিস দেয় কারও আর্তনাদ
-
ওদিকে আছে তো ইউক্যালিপটাস - ঘ্রাণে
নাকের উপসম
খালের জল বয়ে যায় নিজের সঙ্গের জন্য
নির্জন
থাকে একা—ঈশ্বরের ন্যায় একান্ত গোপনে -
টার্মিনালে ছুটে যায় কামনা
জন্মের বহুদিন কেটে যাওয়ার পর,
নীল পাতার বইদোকান
থেকে কিনে যাই কাম ক্রোধ মোহ
,
সে কথা কারও জানার
কথা নয় ,
জানালেই লুটপাট চলে রাস্তায় রাস্তায় ।
অবাঞ্ছিত মোরামের গুঁড়োয় নির্বাক দুনিয়া
, আকুল
তাকিয়ে
দেখি সন্ধ্যার কালো চশমা
মানুষ অমৃতের আধার
- সারা গায়ে তার
ধুলো
- এক
ফুঁয়ে উড়িয়ে দিতে তোমার কষ্ট হয় ,
কেননা ধুলোর পরে
শরীরের তেজে পা দোলাচ্ছে কতগুলো
মৃত্যুদিবস
-
সকালের রোদ্দুরে ভেজা আকাশ চোখের ভিতর ,
শুকনো
শোকের টার্মিনালে ছুটে যেতে থাকে যে
অক্সিজেন -
একবারও পড়া হলো না তার সঙ্গীত
। আকাশ দেখছে সুউচ্চ
গ্রীবা - জন্ম হওয়ার সুবাদে
কামনার দিকে উড়তে থাকে
ঘাস , করতাল বাজানোর লোকটার চোখ দিয়ে
জল পড়ে
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল